খুলনার রূপসা রেলসেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া সারবাহী কার্গো থেকে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের চেষ্টায় কার্গোর কেবিন থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যজনের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার করা মরদেহটি কার্গোর গ্রিজার শাকায়েত হোসেন মুন্সির বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন রূপসা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক নুরুল ইসলাম শেখ। তিনি বলেন, কার্গোর কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (খুলনা) ফারুক হোসেন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, কাল বুধবার আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
গত রোববার দুপুরে রূপসা নদীতে রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে টিএসপিবোঝাই কার্গোটি ডুবে যায়। ওই ঘটনায় কার্গোয় থাকা ১৩ জনের মধ্যে ২ জন নিখোঁজ হন। আজ গ্রিজার শাকায়েত হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও জাহাজের বাবুর্চি আবুল কালামের সন্ধান এখনো মেলেনি।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এমভি থ্রি লাইট-১ নামের কার্গোটি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গোটি রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। মূলত কার্গোর ‘ইলেকট্রিক সুকান’ ফেল করে ব্রেক অকেজো হয়ে পড়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। ওই সময়ে নদীতে জোয়ার ছিল এবং বৃষ্টি হচ্ছিল। কার্গোর অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। এটি রেলসেতুর ৭৩ নম্বর পিলার থেকে ২০ গজ উত্তরে নদীর তলদেশে আছে।
এদিকে ডুবে যাওয়া কার্গোর অবস্থান শনাক্ত করা হলেও সেটি উদ্ধারে কোনো তৎপরতা শুরু হয়নি জানিয়ে নৌ পুলিশের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘কার্গোটি উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়নি। শুধু নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালছে। নদী থেকে জাহাজ ওঠানোর কাজ করবে মালিকপক্ষ। এ জন্য জাহাজ উদ্ধারে এখনই আমাদের কোনো প্রচেষ্টা নেই। জাহাজটি ১০ থেকে ১৫ দিন পর উদ্ধার করলেও কোনো সমস্যা হবে না।’