৫৩ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি ভেসে উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পানি নেমে যাওয়ার পর সেতুর পাটাতন ভেসে ওঠে। তবে পারাপারে ঝুঁকি আছে কি না, তা দেখার পর চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা হবে।
জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় গত ২৩ আগস্ট রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। শুরুতে প্রায় দেড় ইঞ্চি পানিতে এটি ডুবে ছিল। এরপর পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুর ওপর চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী সময় পানি আরও বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ছয় ইঞ্চি পানিতে ডুবে যায় সেতুটি। গতকাল বুধবার সকালে পানি নেমে যায়।
পর্যটন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৭০ দশকের শেষের দিকে রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের সুবিধার্থে দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করে এই আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি। প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক সেতুটি দেখতে ভিড় করেন। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ছোট-বড় সবুজ পাহাড়। অন্যদিকে স্বচ্ছ পানি।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আজ সকালের দিকে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি ভেসে উঠেছে। দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় সেতুর কিছু কিছু স্থানে মেরামতের প্রয়োজন। মেরামত করতে দু–এক দিন সময় লাগতে পারে। সম্পূর্ণ মেরামত হলে পর্যটকদের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পর সবার জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে।
রাঙামাটি শহরে নৈসর্গিক পর্যটন এলাকার মধ্যে আরও রয়েছে সুবলং ঝরনা, পলওয়েল পার্ক, প্রশাসকের বাংলোর পার্ক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের বেসরকারি পর্যটন বেরান্নে, বড় গাঙ, রান্ন্যাতুগুন ইত্যাদি। এ ছাড়া শহরের বাইরে আছে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালী, কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে পর্যটনস্পট, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, কর্ণফুলী পেপার মিলস ও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান।
অবশ্য ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের তিন পার্বত্য জেলা (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। ফলে পাহাড়ে কোনো পর্যটকেরও দেখা মিলছে না। এতে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আর্থিক ক্ষতিসহ অলস সময় পার করছেন।