নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক থামিয়ে মারপিট করে চারটি গরু লুট করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তির নাম দবির উদ্দিন (৫৬)। তিনি পাবনার ইশ্বরদী উপজেলা সারিকাজি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। আটক ট্রাকের চালক পাবনার চাটমোহর উপজেলা মধুরাপুর গ্রামের মোতাহার আলীর ছেলে আবদুল আলীম (৩২) ও চালকের সহকারী আনকুটিয়া গ্রামের আবদুল মান্নান শিকদারের ছেলে স্বাধীন হোসেন (২০)।
ভুক্তভোগী দবির উদ্দিন জানান, তিনি উপজেলার রাজাপুর বাজারের শাজাহান কবিরের চারটি গরু কোরবানির বাজারে বিক্রি করার জন্য ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউপি কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর একটি ট্রাক সামনে আসে। তখন তাঁদের গরুর ট্রাক নিচের রাস্তায় নামিয়ে দেয়। তারপর তাঁদের ট্রাক থেকে গরু ডাকাত দলের ট্রাকে ওঠানো হয়।
দফির উদ্দিন বলেন, ডাকাতদের বাধা দিলে তারা তাঁর চোখে শুকনা মরিচের গুঁড়া দিয়ে মারপিট করে। এরপর তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিস্তল ধরে রাখে। পরে ট্রাক নিয়ে চলে গেলে তিনি বাঁধন খুলে পাশের বাড়িতে যান। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
দবির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ট্রাক থামিয়ে চালক ও তাঁর সহকারী দূরে চলে যান। তাঁরা দুজন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
যোগাযোগ করা হলে গরুর মালিক শাজাহান কবির বলেন, ‘কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চারটি গরু ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। চাটমোহরের চৌধুরীপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিমুদ্দিনের ট্রাকে করে শনিবার রাতে ঢাকায় গরু বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছিলাম। আমার ধারণা ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারীকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গরু উদ্ধার করা যাবে।’
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক শাফিউল আযম খান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুত খোয়া যাওয়া গরু উদ্ধার করতে করা সম্ভব হবে।