বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘হাতে গোনা কিছু মানুষ অনেক সম্পত্তির মালিক হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে কোটি কোটি মানুষ আরও দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে, নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এ রকম বৈষম্য বাড়ানোর জন্য তো আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করি নাই।’
আজ শনিবার সকালে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে আমরা যাঁরা হালাল রোজগার করি, আমাদের সংসার চলে না। কারণ, আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে বেতনও যদি বাড়াই, সে টাকা তুলে দিতে হয় দোকানদারের হাতে, না হয় বাড়িওয়ালার হাতে, ফার্মেসিতে, না হয় স্কুল-কলেজে বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য। নিজের হাতে কিছুই থাকে না। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।’
দেশে বৈষম্য বেড়েছে মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা খুব আশা নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। দেশে গণতন্ত্র থাকবে, এ দেশে সুশাসন থাকবে, বৈষম্যের অবসান হবে, মানবিক মর্যাদা থাকবে, যেটা পাকিস্তানে ছিল না। আমরা সম্মানিত নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করব, যেটা পাকিস্তানে পারি নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ক্ষমতার মোহে আজকে যারা ক্ষমতাসীন, তারা আমাদের সব আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই। এ দেশে ভোট হয় না। আজকে দেশে বৈষম্য বেড়েছে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই বাংলাদেশে সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম বাংলাদেশি শ্রমিক ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি নিজেকে শ্রমিক হিসেবে গর্ববোধ করতেন। শ্রমিকেরা সেই শ্রেণির মানুষ, যাঁরা হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শ্রমিকেরা সেই মানুষ, যাঁরা সৃষ্টি করেন, জন্ম দেন সবকিছু।