ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেশির ভাগই ইটভাটার শ্রমিক। ছুটি শেষে কর্মক্ষেত্র ঢাকার সাভারে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তাঁরা। আহত ১৫ জনের মধ্যে গুরুতর দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ১৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে ফরিদপুর সদরের মল্লিকপুর এলাকায় কমিরপুর জোড়া সেতু এলাকায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও ১৫ জন আহত হন। তাঁরা সবাই সাতক্ষীরা থেকে সাভার যাচ্ছিলেন।
ঘটনাস্থলে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহগামী গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের সঙ্গে সাতক্ষীরা থেকে সাভারের আমতলীগামী খাগড়াছড়ি পরিবহন নামে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সাভারগামী বাসের চারজন ও গ্রিন এক্সপ্রেসের একজন যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও ১৫ জন।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন নূর আলম গাজী নামের এক শ্রমিক। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী গ্রামের বাসিন্দা। নূর আলম গাজী জানান, তাঁরা সবাই সাভারের আমতলী এলাকার একটি ইটভাটার শ্রমিক। ছুটি শেষে ৩২ হাজার টাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস রিজার্ভ করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। আর পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রানা মালি নামের এক শ্রমিক বলেন, দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকদের সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা কারও জানা নেই।
এদিকে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র বাড়ই জানান, গ্রিন এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসটি বাঁ দিক থেকে সড়কের মধ্যরেখা অতিক্রম করে ডান দিকের রং সাইডে চলে যায়। এতে সাতক্ষীরা থেকে সাভারগামী বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন চৌধুরী সকাল সোয়া ১০টার দিকে জানান, এখনো এ দুর্ঘটনায় নিহত কারও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।