চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় স্থানীয় লোকজনের পাহারা। গতকাল রাতে
চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় স্থানীয় লোকজনের পাহারা। গতকাল রাতে

চট্টগ্রামে রাতভর ডাকাত আতঙ্ক, এলাকাবাসীর পাহারা

চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর ছিল ডাকাত আতঙ্ক। ডাকাত হানা দেওয়ার খবরে জামালখান, লাভলেন আবেদনি কলোনি, আসকারদীঘির পাড়সহ বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে লোকজন লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে আসেন। পরে সেনাবাহিনীর ভ্রাম্যমাণ দলও এলাকাগুলোতে টহল দেয়।

বৃহস্পতিবার রাত দুইটা থেকে বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে ডাকাত আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় বিভিন্ন মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত এসেছে বলে প্রচার করা হয়। লোকজনকে সজাগ থাকার পরামর্শও দেওয়া হয় মসজিদের মাইকে। এরপর লোকজন লাঠি হাতে অলিগলিতে ডাকাত খুঁজতে থাকেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দ্রুত ডাকাত আতঙ্কের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। একইভাবে নগরের নন্দনকানন, হেমসেন লেনরাজাপুকুর লেন এবং আশপাশের এলাকায়ও ডাকাতদল হানা দিয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এমনিতে এসব এলাকায় সোমবার রাত থেকে এলাকাবাসী পাহারা শুরু করেন। মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলা ও লুটপাট রোধে এই পাহারা দিয়ে আসছিলেন। ডাকাত আসার খবরে আরও লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে পড়ে।

আসকারদীঘি শতদল ক্লাবসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রাজু বড়ুয়া জানান, ‘রাতে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিমান অফিসের পেছনের দিকে নালা হয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসে। বিষয়টি স্থানীয় দারোয়ান এবং এলাকা পাহারারত লোকজন টের পেয়ে প্রচার করেন। এরপর সাধারণ লোকজন রাস্তায় নেমে আসে ডাকাত প্রতিরোধে। পরে সেনাবাহিনীর টহল দল আসে। এরপর কাজীর দেউড়ি থেকে দুজনকে আটক করা হয় বলে শুনেছি।’

এদিকে আসকারদীঘির পাড়ের রামকৃষ্ণ মিশন ও লোকনাথ মন্দির, নন্দনকাননের বিভিন্ন মন্দিরেও সোমবার রাত থেকে পাহারা চলছে। গতকাল ডাকাত আসার খবরে পাহারা আরও জোরদার করা হয়।

নগরের আবেদনি কলোনি, রাবেয়া রহমান গলি, রাজাপুর লেন, মোমিন রোড ও জামালখানেও লোকজন রাতে রাস্তায় নেমে আসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়ে সেনাবাহিনী টহল দলের। এ ছাড়া আটক হওয়া ডাকাতদের ছবিও দেওয়া হয়। তবে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

এম আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক পোস্টে রাত আড়াইটার দিকে লেখেন, ‌‘কাজীর দেউড়ি এক ও দুই নম্বর গলি, আসকারদীঘিতে ডাকাতি হচ্ছে। মসজিদের মাইকে সবাইকে জানানো হচ্ছে।’