রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় এক নারী তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন। পুলিশ ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আজ রোববার সকালে ওই নারী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ তাঁকে নিয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
ওই নারীর নাম আংগুরা বেগম (৬০)। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার মহিপাড়া গ্রামের আকবর আলীর স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ছেলে সাইদুর রহমান এবং ছেলের বউ রুমি খাতুন তাঁকে নির্যাতন করেছেন।
আংগুরা বেগম প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, মানুষের বাড়িতে কাজ করে, ভ্যান চালিয়ে স্বামী ছেলেকে মানুষ করেছেন। জমি বিক্রি করে ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন। ১২ বছর বিদেশে থাকার পর ছেলে দেশে এসে বসতভিটার ২৭ শতক জমি লিখে নিতে চায়। এই জমি তাঁর স্বামী লিখে না দেওয়াতে নির্যাতন শুরু করে। কয়েক দিন আগে ছেলে তাঁকে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে। তাঁর স্বামীকে ছেলে ও ছেলের বউ মিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রোববার বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছেন। তিনি ছেলের বিচার চান।
তবে আংগুরার ছেলে সাইদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি মা–বাবার একমাত্র ছেলে। আমার এক ছোট বোন আছে। মা–বাবাকে মারব—এ ধরনের কাজ আমার দ্বারা সম্ভব না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১২ বছর টানা বিদেশ থেকে তিনি অনেক টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। মায়ের নামে ব্যাংক হিসাবেই সব টাকা এসেছে। পরে বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর নামে কিছুই নেই। দুইটা বাড়ি করেছে তাঁর পাঠানো টাকা দিয়ে, সেই বাড়িও তাঁর নামে না। মা–বাবা, বোন ও বোনের জামাই মিলে সবকিছু শেষ করে ফেলেছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, সকালে ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এক নারী থানায় এসেছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।