বিয়ে করতে না পারায় কিশোরীকে হত্যা, এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় এক কিশোরীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমদ্দার আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির নাম আবুল হোসেন (৫০)। তাঁর বাড়ি হরিরামপুর উপজেলার সরফদিনগর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরীর নাম বৃষ্টি আক্তার (১৫)। সে সরফদিনগর গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি আক্তারের বাবা রমজান আলীর সঙ্গে আবুল হোসেন (৫০) দিনমজুরির কাজ করতেন। একসঙ্গে কাজ করায় নানা কারণে আবুল বৃষ্টিদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। কয়েক দিন এভাবে যাওয়া-আসা করার পর বৃষ্টিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আবুল । কিন্তু বয়স বেশি হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাবে বৃষ্টির মা-বাবা রাজি না হয়ে আবুলকে তাঁদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন।

এতে আবুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের হুমকি দিয়ে বলেন, কীভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন, তা দেখে নেবেন। ২০১৭ সালের ৫ মে বৃষ্টির মা তাঁর বাবার বাড়িতে যান ও বাবা কাজে বের হন। এই সুযোগে বৃষ্টিকে বাড়িতে একা পেয়ে আবুল হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই বৃষ্টি মারা যান।

এ ঘটনায় ৫ মে বৃষ্টির মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে আবুল হোসেনকে আসামি করে হরিরামপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি আবুলকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ২০১৮ সালের ১০ জুলাই হরিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কোহিনুর মিয়া আসামি আবুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে (বাদীপক্ষ) মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুস সালাম এবং আসামিপক্ষের ছিলেন মো. মতিয়র রহমান ওরফে আঙ্গুঁর।