এক সপ্তাহের ব্যবধানে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম কমেছে
এক সপ্তাহের ব্যবধানে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম কমেছে

গাইবান্ধায় সবজিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম

এক সপ্তাহের ব্যবধানে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম কমেছে। একই সময়ের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও বিআর-২৮ জাতের চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। সবজির দামে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও অন্য সব পণ্য কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম অনেকটা কমেছে। প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একইভাবে দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা থেকে কমে ১১৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা থেকে কমে ২৪০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা থেকে কমে ২১০ টাকা, করলা ১২০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, মুখি কচু ৮০ থেকে কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা থেকে কমে ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪২০ থেকে কমে ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি আটা ৪৮ টাকা থেকে কমে ৪২ টাকা এবং প্রতি কেজি চিনি ১২৭ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়।

দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে সবজির দাম বেড়েছিল। এখন ধীরে ধীরে দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের সবজি বিক্রেতা এমদাদ হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে বেশি দামে সবজি কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করেছি। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এখন পাইকারি বাজারে সবজির দাম কমেছে। তাই কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারছি। ধীরে ধীরে আরও দাম কমবে।’

বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম

এ দিকে একই সময়ের ব্যবধানে মঙ্গলবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, প্রতি হালি ডিম ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা, বিআর-২৮ জাতের চাল ৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬ টাকা এবং চিকন চাল ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মসুর ডাল, লবণ ও সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষার্থীদের সহায়তা নিয়ে নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।

গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে আসা শহরের বানিয়ারজান এলাকার চাকরিজীবী তামজিদুর রহমান (৫৫) বললেন, বেশ কয়েক দিন পর সবজি কিনে ভালো লাগল। দাম অনেকটা কমেছে। আরও কমবে বলে দোকানিরা জানালেন। একই বাজারে আসা ফুলছড়ি উপজেলার চন্দিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক শফিকুল ইসলাম (৫০) বলেন, চাকরিজীবীদের সারা বছর চাল কিনে খেতে হয়। বাজারে এসে দেখেন সবজির দাম কমলেও ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও চালের দাম বেড়েছে। বাধ্য হয়ে কয়েক কেজি চাল কম কিনলেন।

বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় চার হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে নানা জাতের সবজি চাষ হয়েছে। বাজারে সবজি আসা শুরু করেছে। সবজির দাম আরও কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের হকার্স মার্কেটের বাজারে আসা গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি গ্রামের রিকশাচালক ময়নুল হক (৪৩) বলেন, ‘আগোত শাকসবজির দাম বেশি আচিলো। কয় দিন থাকি দাম কমচে। কিন্ত চাল, তেল, ডালের দাম কমে নাই। সব জিনসের দাম কমানো দরকার।’