ঝালকাঠিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নরুল্লাপুর ও মহাদিপুর নয়রাস্তা গ্রামবাসীর মধ্যে বারইকরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ আটজনকে আটক করেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. রাজু (২০), জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম (৩০), মো. সাজু হাওলাদার (৪৫), সেলিম গোমস্তা (১৮), লাল চান হাওলাদার (১৪), কুদ্দুস হাওলাদার (৩০), মো. সোহাগ (৩০), এনামুল হক (৩০), জাহিদুল ইসলাম (৩২), মো.আল-আমিন (২৮), মো. শফিকুল হাওলাদার (৩০), মো. হানিফ খান ( ৫৫) , মো. হাচান খান (২৭) ও শহিদুল হাওলাদার (৩৫)। আহত ব্যক্তিদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মো. রাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে মহাদীপুর ও নুরুল্লাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি মাহফিল হয়। সেই মাহফিলে কিছু কিশোর ছেলেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় বড়রাও জড়িয়ে পড়েন। সেই ঘটনার জেরে সোমবার দুপুরে দুটি গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজ হাওলাদার ও মো. রানা হাওলাদারসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঝালকাঠি পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আটজনকে আটক করা হয়েছে।