জয়ন্ত কুমার সিংহ
জয়ন্ত কুমার সিংহ

কিশোর জয়ন্তের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ধনতলা সীমান্তের শূন্যরেখায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

জয়ন্ত কুমার সিংহ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকিরভিটা বেলপুকুর গ্রামের বাসিন্দা মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রোববার গভীর রাতে ধনতলা সীমান্ত এলাকার ৩৯৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে একদল লোক স্থানীয় দালালের সহযোগিতায় ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রাত তিনটার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের ডিঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে জয়ন্ত ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়। গুলিতে জয়ন্তের বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও দরবার আলী নামে একজন আহত হন। তাঁদের রংপুরে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সমর কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জয়ন্তের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা শোনা যায়। পরে বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তরের সময় পিছিয়ে দেয়। রাত দেড়টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত জয়ন্তের লাশ সীমান্তের ৩৯৩ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব পিলার এলাকার শূন্যরেখায় হস্তান্তর করা হয়। লাশ হস্তান্তরের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হীরক বিশ্বাস, বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার সন্তোষ সিং, বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী ও জয়ন্তের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর লাশ জয়ন্তের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিজিবির ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমদের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাড়া দেননি।