সিলেটে কোরবানির ঈদের দিন দা-ছুরির আঘাতে আহত হয়ে অনেকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন
সিলেটে কোরবানির ঈদের দিন দা-ছুরির আঘাতে আহত হয়ে অনেকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন

সিলেট ও কুমিল্লায় কোরবানির কাজ করতে গিয়ে জখম শতাধিক

সিলেট ও কুমিল্লায় কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে শতাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। আজ সোমবার এই দুই জেলার হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিলেটে কোরবানি ঈদের দিন দা-ছুরির আঘাতে আহত হয়ে ২৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আজ সকাল ছয়টা থেকে বেলা তিনটার মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই কোরবানি দিতে গিয়ে এবং মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জনের সেলাই লেগেছে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সিলেটের রোহানুর রহমান (১৬) নামের এক কিশোরের চাচা আবদুল হামিদ বলেন, তাঁর ভাতিজা সকালে ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি দেওয়া গরুর মাংস কাটছিল। এ সময় বৃদ্ধাঙ্গুলে আঘাত পায় সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কদুপুরের বাসিন্দা ইমাম উদ্দিন (২৬) বলেন, সিলেট নগরের ভাতালীয়া এলাকায় কোরবানির মাংস কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। অসাবধানতাবশত তাঁর হাতে দায়ের কোপ পড়ে যায়। পরে চিকিৎসার জন্য তিনি হাসপাতালে যান।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি বিভাগের ব্রাদার সুভদ্র দাশ বলেন, ওয়ার্ডটিতে সকাল থেকে বেলা তিনটার মধ্যে দা-ছুরির আঘাতে আহত ২৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে কোরবানির মাংস প্রস্তুত করার কাজ করতে গিয়ে আহত অন্তত ১০০ জন কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আহত ব্যক্তিরা তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সবাই মৌসুমি কসাই কিংবা নিজের গরু-ছাগল নিজে জবাই ও কাটাকুটি করতে গিয়ে ধারালো ছুরি-দায়ের আঘাতে আহত হন।

সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৫ জন। জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজন কুমার দাস জানান, হাসপাতালে শহরের রোগীরাই বেশি। সবাই ছোটখাটো আঘাত নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসা নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরে গেছেন।

নগরীর টিক্কারচর এলাকা থেকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাগর হোসেন বলেন, কোরবানির গরুর মাংস কাটতে গিয়ে কীভাবে যে হাত কেটে গেল, তিনি টের পাননি। এখন সেলাই লাগছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স দুলাল চন্দ্র সূত্রধর জানান, বেলা দুইটা পর্যন্ত ৩৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আরও অনেকেই আসছেন।