ফরিদপুরে কথা-কাটাকাটির জেরে আবদুল জলিল মোল্লা (৭০) নামের এক ব্যক্তিকে কাঠের চেলা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে ফরিদপুর শহরতলির বদরপুর এলাকায় অবস্থিত তাবলিগ জামাত পরিচালিত মারকাজ মাদ্রাসা মসজিদের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল মান্নান মুন্সি (৭৫) নামের এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
নিহত জলিল মোল্লা জেলার মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের মৃত হামিদ মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জোহরের নামাজ পড়ার পূর্বে গোসল করতে যাওয়ার সময় শহরের বদরপুর তাবলিগই মারকাজ মসজিদের উত্তর পাশের বারান্দায় আবদুল মান্নান মুন্সির সঙ্গে জলিল মোল্লার সাবান নেওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মসজিদের উত্তর পাশের বারান্দায় থাকা কাঠের চেলা দিয়ে জলিল মোল্লার মাথায় আঘাত করেন মান্নান মুন্সি। এ সময় ঘটনাস্থলেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জলিল মোল্লার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত আবদুল মান্নান মুন্সিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আবদুল মান্নান মুন্সির সঙ্গে জলিল মোল্লার সাবান নেওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাঠের চেলা দিয়ে জলিল মোল্লার মাথায় আঘাত করেন মান্নান মুন্সি।
মারকাজ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নূর হোসাইন বলেন, ‘আবদুল মান্নান মুন্সি কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি (আবদুল মান্নান) রাগী স্বভাবের লোক। অল্পেই রেগে যান। এ ঘটনা শোনার পর মসজিদে গিয়ে মৃতদেহটি দেখতে পাই। একই সঙ্গে দেখতে পাই, এলাকাবাসী গামছা দিয়ে আবদুল মান্নান মুন্সিকে বেঁধে রেখেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এক শিশু হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। পরে ওই শিশু পুলিশের কাছে একই বক্তব্য দেয়।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক আবদুল জব্বার বলেন, নিহত ব্যক্তির মাথায়, কানে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথা ও কান ফেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান আবদুল জলিল মোল্লা। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।