নেত্রকোনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কলেজশিক্ষক রাজিয়া সুলতানা লিজা (৪০) মারা গেছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজিয়া সুলতানা নেত্রকোনা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বড় পাইকুড়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান মুকুল ও সৈয়দা পারুল বেগমের দ্বিতীয় সন্তান।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে রাজিয়া সুলতানা কলেজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ময়মনসিংহের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। পথে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে ওই অটোরিকশার সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ওই শিক্ষক গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আজ শুক্রবার সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির পাঁচ ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রাজিয়া সুলতানা অবিবাহিত ছিলেন। কর্মজীবনের শুরু থেকে তাঁর মাকে নিয়ে নেত্রকোনা পৌর শহরের নাগরা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ছয় মাস আগে ওই বাসা পরিবর্তন করে ময়মনসিংহে একটি ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। তিনি ২০১০ সালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরল বাসেত জানান, আগামীকাল শনিবার সকালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।