খুলনায় আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন

বিএনপির সমাবেশে নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় লোগো
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় লোগো

খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যরা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মন্তব্য করেছে জেলার আওয়ামী লীগ। তাদের অভিযোগ, সমাবেশে আসা বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন।

আজ রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন খুলনা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বিএনপির গণসমাবেশের প্রতিক্রিয়া ও নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বিএনপির নেতারা দাবি করছেন সমাবেশে পাঁচ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। কিন্তু সোনালী ব্যাংক চত্বর রাস্তায় কত মানুষই বা হতে পারে? ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার মানুষ হয়েছে, অথচ মিথ্যাচার করা হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা যা বলেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টির বেশি আসন পাবে না, আওয়ামী লীগের কোনো চিহ্ন থাকবে না, স্বৈরাচারী সরকারকে জনগণ টেনেহিঁচড়ে নামাবে, এ সরকারের পতন ঘটবে ইত্যাদি। এসব গণতন্ত্রের ভাষা নয়, রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বক্তব্য বলে আমরা মনে করি।’

বিএনপি কোনো বাধা ছাড়াই সমাবেশ করেছে উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, গণসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায়, সোনালী ব্যাংক চত্বর ব্যবহারের অনুমিত দেওয়ায়, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মাইক ব্যবহারসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে অনুমতি দেওয়ায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি। এতে প্রমাণিত হয় গণসমাবেশে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি।

বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে গণমাধ্যমে সঠিক সংবাদ প্রচার করা হয়নি, এমন অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, কোনো কোনো প্রচারমাধ্যম অতি উৎসাহী, অতিরঞ্জন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের ওপর যে হামলা হয়েছে, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার করা হয়নি।    

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দৌলতপুরের নতুন রাস্তা মোড়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে দুজন আহত হয়েছেন, তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। শিববাড়ী মোড়ের টাইগার গার্ডেন হোটেলের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।