ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হাসান সারোয়ারসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হাসান সারোয়ারসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচন

চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে ভোট গ্রহণ শুরুর আগে নবীনগর উপজেলা পরিষদ ভোটকেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। হামলার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হাসান সারোয়ারসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিল্লাল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ আগে আমি নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিনের সমর্থক হাসান সারোয়ার ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। একপর্যায়ে তাঁরা হামলা চালিয়ে চড়থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন।’

অভিযোগের বিষয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রার্থী বিল্লাল মিয়ার ওপর তাঁর সমর্থকদের হামলা চালানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোট গণনা শুরুর আগে কেন্দ্রের বাইরে এক প্রার্থীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এতে ভোটে কোনো প্রভাব পড়েনি। পরিস্থিতি শান্ত আছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে গেছে।

কেন্দ্রের বাইরে এক প্রার্থীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনায় জড়িত থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০২৩ সালের ২ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার মারা যান। এতে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হওয়ায় উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের ১ হাজার ৩৮৪ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।