শারীরিক গড়ন, খাদ্যাভ্যাস ও চালচলনের কারণে ষাঁড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জামালপুরের ডন’। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ষাঁড়ের মালিক ক্রেতাদের কাছে এটির দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। এটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায়ই লোকজন আসছেন।
জামালপুরের ডনের মালিকের নাম মোশারফ হোসেন। তিনি পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার বাসিন্দা। মোশারফ একজন ব্যবসায়ী ও খামারি। তাঁর দাবি, বর্তমানে এটিই জেলার সবচেয়ে বড় গরু। জামালপুর জেলা প্রাণিসম্পদ মেলায় পশু প্রদর্শনীতে এই ডন ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বড় গরুর স্বীকৃতি পায়। পুরস্কার হিসেবে প্রথম বছর ৫ হাজার ও চলতি বছর ১০ হাজার টাকা পান তিনি।
ষাড়টির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ২ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি; তার সোনালি শরীরে কালো ছাপ। এর ওজন ২৮ মণ বলে দাবি মালিকের। এবার ঈদুল আজহায় ডনকে হাটে তোলা হবে না। তাকে খামার থেকেই বিক্রি করতে চান মালিক মোশারফ হোসেন। তিনি এর দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা।
মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য পাঁচ বছর ধরে তিনি তাঁর খামারে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি ৭০ হাজার টাকায় ষাঁড়টিকে কিনেছিলেন। দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটি হৃষ্টপুষ্ট করেছেন তিনি। প্রয়োজনমতো খাবার দেন ও পরিচর্যা করেন। দিনে দিনে ওজন বেড়ে গরুটি ২৮ মণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি দেশি জাতের গরু। এর খাদ্যতালিকায় আছে কাঁচা ঘাস, খড়, ভুট্টা ও কলা। সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন প্রায় ৮ কেজি খাবার খায়।