কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় শহিদুল ইসলাম শওকত (৩৮) নামের শ্রমিক দলের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। এ সময় আরও দুজন ছুরিকাঘাতে আহত হন। শহিদুল পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ভোলাইয়াঘোনা এলাকার মৃত শফিউল আলমের ছেলে।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। তবে শহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রাত সাড়ে ১২টার দিকে।
আহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন নিহত শহিদুলের ভাই মোহাম্মদ শাকের (২৭) ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ তারেক (২৩)। আহত ব্যক্তিদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শ্রমিক দলের নেতারা আরও বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গত রোববার রাতে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলামের কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার পর গতকাল সকাল ১০টার দিকে দুই পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে মীমাংসা করে দেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ। তিনি দুই পক্ষকে পরবর্তী সময়ে ঝামেলায় জড়ালে বহিষ্কারের হুমকিও দিয়ে রাখেন।
শ্রমিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, সালিস বৈঠকের পর গতকাল রাত আটটার দিকে ভোলাইয়াঘোনা রাস্তার মাথায় সাজ্জাদুল ইসলামের এক চাচাতো ভাইকে মারধর করেন শওকত ও তাঁর ভাই শাকের। এ ঘটনার জের ধরে সাজ্জাদুল ইসলামের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে শওকত, শাকের ও তারেকের ওপর আক্রমণ করেন। এতে তিনজনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়স্বজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শওকতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছালে শওকত মারা যান।
পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই দিন আগেও নিহত ও হামলাকারী ব্যক্তিদের মধ্যে চমৎকার সুসম্পর্ক ছিল। তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে খুনের মতো ঘটনাটি ঘটে গেছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘শ্রমিক দলের নেতা শহিদুলকে কারা, কী কারণে এবং কেন খুন করেছে, আমরা তা বের করার চেষ্টা করছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’