টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী আবুল হাশেম প্রচারণা শুরুর ১১ দিন পর মাঠে নেমেছেন। গত শুক্রবার উপজেলার তক্তারচালা বাজারে অবস্থিত ছামান পাগলার মাজার থেকে তিনি একাই প্রচারণা শুরু করেন। তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে দেখা করে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের আইডিতে পোস্ট করছেন।
আবুল হাশেমের বাড়ি উপজেলার কালমেঘা গ্রামে। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন আমি একাই ঘুরছি। ১ জানুয়ারি থেকে হাজার হাজার কর্মী বাহিনী নিয়ে জোরেশোরে মাঠে নেমে পড়ব। আমার প্রচারণার সামনে নৌকা ও গামছা মার্কা কোনো পাত্তাই পাবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমিই পাস করব।’
আবুল হাশেম আরও বলেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দলের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কোনো কমিটি নেই। ফলে এ দলে তিনি ছাড়া আর কোনো কর্মী নেই। সুতরাং তাঁকে একাই প্রচারণা চালাতে হচ্ছে। তিনি একজন কৃষকের সন্তান। তাঁর কাছে তেমন টাকাপয়সা নেই। দল থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা পাবেন। ১ জানুয়ারি ব্যাংক থেকে ওই টাকা তুলে তখন জোরেশোরে প্রচারণা চালানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবুল হাশেম ২৫ বছর আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক ছিলেন। ১৯৯৯ সালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করলে আবুল হাশেম ওই দলে যোগ দেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় মনোনয়ন কেনেন তিনি। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। তখন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ত্যাগ করে নতুন প্রজন্ম নাগরিক ঐক্য ফ্রন্ট নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ওই দলের নিবন্ধন না থাকায় ২০১৯ সালে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, পরে জামানত হারান। এবার তিনি ওই দল থেকেই সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।
কালমেঘা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, আবুল হাশেম তাঁদের গ্রামের ছেলে। গ্রামে তাঁর কোনো পোস্টার নেই। মাইকিংও শোনা যাচ্ছে না। তিনি একা একাই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন। ভোটারদের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন। সারা দিনে তাঁর ফেসবুকে চার-পাঁচটা লাইকও পড়ে না।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের অনুপম শাহজাহান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম, তৃণমূল বিএনপির পারুল আক্তার, বিকল্পধারা বাংলাদেশের আবুল হাশেম, বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের মোস্তফা কামাল।