২২ অক্টোবর খুলনার গণসমাবেশে সাধারণ মানুষ নির্দলীয় সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বুধবার ঝিনাইদহ ও মাগুরায় আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে এসে এসব কথা বলেছেন তিনি। খুলনার সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থকদের হামলায় এই নেতা-কর্মীরা আহত হন।
আজ বিকেল চারটার দিকে রুহুল কবির রিজভী ঝিনাইদহে আসেন। তিনি জেলার বিভিন্ন স্থানে আহত নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের খোঁজখবর নেন। আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে তারেক রহমানের পাঠানো সহায়তার অর্থ বিতরণ করেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মুন্সী কামাল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেনসহ দল ও অঙ্গসংগঠনের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খুলনায় যে সমাবেশ হয়েছে, সেটা শান্তিপূর্ণ একটি প্রতিবাদ। আপনারা দেখেছেন, সমাবেশকে ঘিরে যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তখনো আমাদের নেতা-কর্মীরা ট্রেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাড়া করে অনেক কষ্টে খুলনার সমাবেশে পৌঁছেছেন। পথে পথে তাঁদের আঘাত করা হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, ওদের আর গণভিত্তি নেই। ওরা জনগণের সমর্থন থেকে সরে গেছে। অস্ত্রের ওপর নির্ভর করছে এবং তারা তাদের সংগঠনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়েছে। পথে পথে বাধা ও পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করে খুলনায় যে জনসমুদ্র তৈরি হয়েছে, এতে প্রমাণিত হয়েছে, জনদাবির পক্ষে সাধারণ মানুষ। নির্দলীয় সরকারের পক্ষে মানুষ।’
পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান রুহুল কবির রিজভী। আহত নেতা-কর্মীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।
এ সময় বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ২২ অক্টোবর খুলনায় জনসমাগম ঠেকাতে সরকার হরতাল পালন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে পথে পথে নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়েছে। হামলা করে রক্ত ঝরিয়েছে। তবে মানুষকে আটকাতে পারেনি। সাধারণ মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে, ট্রেনের ছাদে, নছিমনে, করিমনে, নদী সাঁতরে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।
মাগুরা জেলা বিএনপির নেতারা জানান, ২২ অক্টোবর খুলনার গণসমাবেশ থেকে ফেরার পথে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলায় মাগুরার ৮ থেকে ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। এর মধ্যে খুলনার দৌলতপুরে হামলার শিকার মাগুরা সদর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইউনূস মোল্লা গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাঁকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।