কিশোরগঞ্জে সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

নাজমুল হাসান
প্রথম আলো ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জে সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসানসহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তির হাত বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

রোববার কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী মামুন মিয়া। এই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি ১০ থেকে ১৫ জন। বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

হামলায় আহত মামুন ভৈরব পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার জাহের মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক এবং স্থানীয়ভাবে বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এর আগে নাজমুল হাসানকে প্রধান আসামি করে ভৈরব থানায় আরও একটি মামলা হয়। ওই মামলায় মোট আসামি ১৪০ জন। বাদী পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলম সরকার।

রোববার হওয়া মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসানের একান্ত সচিব (এপিএস) আলমগীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোল্লা সাখাওয়াত হোসেন, সেলিম খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত উল্লাহ, সাবেক সহসভাপতি মির্জা সুলায়মান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহসভাপতি মোশারফ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিব রায়হান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অলিউর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক অরুন আল-আজাদ, আরমান উল্লাহ, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সৈকত প্রমুখ।  

মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় শহীদুল্লা কায়সার পাদুকা মার্কেটের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা দা দিয়ে মামুনকে কোপান। সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসানের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছিল। হামলায় মামুনের হাত গুরুতর জখম হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর হাত কেটে ফেলতে হয়।

মামুন মিয়া বলেন, ‘আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য ওই দিন কোপানো হয়। কোনোরকমে  প্রাণ রক্ষা পেলেও হাতটি আর রক্ষা হয়নি। আমি পঙ্গু হয়ে গেলাম।’

মামলার আসামি পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ বলেন, ‘মামুনের ওপর কারা হামলা চালিয়েছে, তা আমরা জানি না। তবে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আমাদের নামে মিথ্যা মামলা হলো।’