প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে মোর্শেদা বেগমের। আজ শনিবার সকালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পাবলিক স্কুল মাঠে
প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে মোর্শেদা বেগমের। আজ শনিবার সকালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পাবলিক স্কুল মাঠে

‘এই কম্বলটা মোক অনেক শান্তি দিবে বাহে’

দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌর শহরের ধুপিপাড়া থেকে এসেছেন মোর্শেদা বেগম (৭৫)। তাঁর গায়ে একটি কম্বল জড়িয়ে দিলেন বন্ধুসভার সদস্যরা। এতে বেজায় খুশি তিনি। মুখভরা হাসি নিয়ে বন্ধুসভার সদস্যদের মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘কম্বলখান নিয়া তোমাক আল্লাহ পাঠায় দিছে ব্যাহে। জারত (শীত) খুব কষ্টে আছিনু, এখন এই কম্বলটা মোক অনেক শান্তি দিবে বাহে।’

আজ শনিবার সকালে পার্বতীপুর পাবলিক স্কুল মাঠে জড়ো হওয়া শতাধিক শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছেন পার্বতীপুর বন্ধুসভার সদস্যরা। প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন শীতার্ত মানুষগুলো।

শহরের বাবুপাড়া বস্তির বাসিন্দা অজিয়া খাতুন বলেন, ‘সগাই সরকারের কম্বল পায়, মোর এখান খেতাও (কাঁথা) নাই বাবা। এই প্রথম তোমার কম্বল পানু।’ সাহেবপাড়ার রেখা রানী বললেন, ‘খুব আরাম হইবে এই কম্বল পায়া।’

শতাধিক শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছেন পার্বতীপুর বন্ধুসভার সদস্যরা

পার্বতীপুর বন্ধুসভার শীতবস্ত্র বিতরণ উপকমিটির আহ্বায়ক আশিকুজ্জামান আশিকের সভাপতিত্বে বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পার্বতীপুর পাবলিক স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল ইসলাম, প্রথম আলোর সৈয়দপুর প্রতিনিধি এম আর আলম, পার্বতীপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা আদনান হক শাহ, সহসভাপতি সুদীপ্ত কুমার রায়, যুগ্ম সম্পাদক শায়লা আক্তার শাহ, মায়িশা আরফিন, অর্থ সম্পাদক শংকর মাহাতো, দপ্তর সম্পাদক মনীষা রানী দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিক ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পার্বতীপুর বন্ধুসভার ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক ওয়াসিফ বশির।

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।