কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার বনাঞ্চলে অসুস্থ হয়ে মরে যাওয়া হাতি শাবকের ময়নাতদন্ত চলছে। গতকাল বিকেলে
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার বনাঞ্চলে অসুস্থ হয়ে মরে যাওয়া হাতি শাবকের ময়নাতদন্ত চলছে। গতকাল বিকেলে

দুদিন চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো গেল না হস্তীশাবকটিকে

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ফুলছড়ি বন রেঞ্জের অসুস্থ হস্তীশাবকটি মারা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে রাজঘাট বনাঞ্চলে মৃত হস্তীশাবকটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। গত মঙ্গলবার সকালে কাঠুরিয়ারা রাজঘাটের মানিক্যার মা ঝিরি এলাকায় হস্তীশাবকটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, দুই দিন চিকিৎসা দিয়েও হস্তীশাবকটিকে বাঁচানো গেল না। ধারণা করা হচ্ছে বনাঞ্চলে অন্য কোনো বন্য হাতির আক্রমণে শাবকটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে ছিল। দুর্বল হওয়ায় ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিল না। দুই দিন ধরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। গতকাল বিকেলে মৃত হাতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তাকিম বিল্লাহ ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন। এরপর মরা হাতিটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

ঈদগাঁও রাজঘাট বন বিট কর্মকর্তা শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, হস্তীশাবকটির বয়স চার থেকে পাঁচ বছর। ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ কেজি। হাতির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রাতে তিনি ঈদগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।