রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির (শারমিন আক্তার) নির্বাচনী ক্যাম্পে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাগাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।
আগুনের ঘটনায় কাউকে শনাক্ত না করা গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে আজ রোববার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মাহিয়া মাহি থানায় কোনো অভিযোগ দেননি। মাহি তাঁর বক্তব্যে সরাসরি কাউকে দায়ীও করেননি।
আজ সকালে মাহি তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আগুনের ঘটনা জানান। সেখানে তিনি লেখেন, ‘গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাগাইল অফিসে গতকাল রাত ২টায় আগুন দিয়েছে।’
এরপর দুপুরে গোদাগাড়ীতে প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আগের রাতে তারা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিয়েছে। এই ঘটনা আমি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। ওই ঘটনার রেশ ধরেই গতকাল রাতে আমার অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুন দেওয়ার পরই এলাকার লোকজন এসে আগুন নিভিয়েছেন। নয়তো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত। পাশের বাড়িতেও আগুন লাগতে পারত। যদিও অফিসের বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে।’
এ ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমি আজকে মামলা করব। আগুন দেওয়া, পোড়ানো এগুলোতে ক্ষতি হয়েছে। তবে এর চেয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে ওই এলাকার ভোটারদের ভেতরে ভয় ঢুকে গেছে।’
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে আজ বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মামলা করার জন্য কেউ আসেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মামলা করবেন বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু সেখান থেকে মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী আবারও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। ওমর ফারুক চৌধুরী ও মাহিয়া মাহি ছাড়াও আরও ৯ জন প্রার্থী আছেন এ আসনে।