কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হকের (সাক্কু) উঠান বৈঠকে ককটেল বিস্ফোরণ ও বোরকা পরে হামলা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে সাক্কুর মালিকানাধীন হোটেল রেডরুফ-ইন-এ। হামলায় হোটেলের সুপারভাইজারসহ চারজন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেল এ দুটি ঘটনা ঘটে। রাত নয়টায় মনিরুল তাঁর বাসভবনে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনার জন্য তিনি বাস প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহারের অনুসারীদের দায়ী করেন।
সাবেক মেয়র মনিরুল হক অভিযোগ করেন, সোমবার বাদ আসর কুমিল্লা নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বাগিচাগাঁও এলাকায় টেবিলঘড়ি প্রতীকের পক্ষে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শুরুর আগে মানুষেরা যখন এখানে জড়ো হন, তখনই পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের ছাদ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া একজন যুবক বোরকা পরে বৈঠকে হামলার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
মনিরুল অভিযোগ করেন, বাগিচাগাঁওয়ে উঠান বৈঠকে হামলার কিছুক্ষণ পর নগরীর রেসকোর্স এলাকায় অবস্থিত তার মালিকানাধীন হোটেল রেডরুফ-ইন-এ হামলা চালানো হয়। এ সময় হোটেলে ভাঙচুরসহ হোটেলটির সুপারভাইজার কবির হোসেন, স্টাফ ফারুক, রুহুল আমিন ও নাসিরকে আহত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার-দলীয় সমর্থক বাস প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছেন। শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই তাঁর উঠান বৈঠকে হামলা ও কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বাস প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।