যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর–সংলগ্ন গাজীপুর এলাকার একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও পরিদর্শন করেছেন ঘটনাস্থল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে দোতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে কেউ ছিলেন না। ককটেল বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের চারটি কক্ষের দেয়াল, কাচের জানালা ও কাঠের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ফ্ল্যাটে ককটেল ও আতশবাজি জমা করে রাখা হয়েছিল। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বারুদের গন্ধ পেয়েছি। এ ছাড়া ওই ফ্ল্যাটে গ্যাসের সিলিন্ডারও রয়েছে। ককটেলের আঘাতে সিলিন্ডারেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে।’
স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, ভবনের মালিক মো. শাহিন ভবনে থাকেন না। তবে নিচতলা এবং ওপরতলা মিলে চারটি ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া। নিচতলার যে ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ ঘটেছে, ওই ফ্ল্যাট মো. লিটন নামের বন্দরের এক শ্রমিকের ভাড়া নেওয়া। শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে বন্দরে প্রায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের কোনো একটি পক্ষের লোকজন লিটনের ফ্ল্যাটে ককটেল রাখতে পারেন।
বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার দেবনাথ বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এটি ককটেল নাকি গ্যাস সিলিন্ডার, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ওই ভবনে বন্দরের শ্রমিকেরা ভাড়া থাকেন। বিস্ফোরণের সময় ভবনটি তালাবদ্ধ ছিল। তবে কেউ হতাহত হননি।