চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ৫৬ শিক্ষকের

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব প্রতিষ্ঠানের নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ শিক্ষক। তাঁরা এসব শিক্ষার্থীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারী ও শিশুসহ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান শিক্ষকেরা।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে। শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে দমন–পীড়নমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেপ্তার জারি রয়েছে। এসব ঘটনা অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।’

শিক্ষার্থীরা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন উল্লেখ করে শিক্ষকেরা বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন তা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ। তাঁরা কোনোভাবেই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন। সব ধরনের পুলিশি হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’

হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে শিক্ষকেরা বলেন, ‘হত্যাকারী যে–ই হোক না কেন সবাইকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেপ্তার ছাত্ররাসহ দেশের সব নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

বিবৃতি দিলেন যাঁরা

প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, মো.আতিয়ার রহমান, মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, সুমন মজুমদার, তানিম জাবিদ হোসাইন, জান্নাতুল আকলিমা, সুনন্দা বৈদ্য, শ্রাবন্তী সাহা ও মৌরি ঢালী, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খ আলী আর রাজী, মো. শহীদুল হক, রওশন আক্তার, ফারজানা করিম ও সায়মা আলম, অর্থনীতি বিভাগের মুহাম্মাদ তারিকুল হাসান চৌধুরী, আলাউদ্দিন মজুমদার ও নঈম উদ্দিন হাছান, পদার্থবিদ্যা বিভাগের মো.রফিকুল ইসলাম ও কাজী মুহম্মদ রাশেদ নিজাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের খাদিজা মিতু ও মোশরেকা অদিতি হক, রসায়ন বিভাগের মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের সালমা বিনতে শফিক, ওশানোগ্রাফি বিভাগের মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মোহাম্মদ হারিসুর রহমান হাওলাদার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ও মো. কামাল উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন ও মুনমুন নেছা চৌধুরী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইকবাল আহমেদ ও মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন ফারুকী, ফাইন্যান্স বিভাগের মুহাম্মদ হাসমত আলী, শাহাদাত হোছাইন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের লুলু ওয়াল মরজান, আদনান মান্নান, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. আফতাব উদ্দিন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মুহাম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোহাম্মদ জাহেদ, আইন বিভাগের আসমা বিনতে হক, সৈকত দাশ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তাপস কুমার ভৌমিক, ফলিত রসায়ন এবং কেমিকৌশল বিভাগের মো. দিদারুল আলম চৌধুরী, মার্কেটিং বিভাগের ফুয়াদ হাসান, এইচ এম কামরুল হাসান, উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. মহিউদ্দিন, নুসরাত ইয়াছমিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের শামীম নূর ও মাহবুবুর রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবদুল মান্নান, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. ইমাম হোসাইন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের এ জি এম নিয়াজ উদ্দিন।