কুরবান আলী (৩২) ও আবেদীন মিয়া (২৮) একই গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। দুজন নদীতে বালু তোলার শ্রমিকের কাজ করেন। কাজের ফাঁকে দুপুরে এক জায়গায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় কুরবান আলীর কাছে একটি সিগারেট চান আবেদীন মিয়া। কিন্তু কুরবান আলী সিগারেট দেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবেদিন লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে কুরবান আলী মারা যান। এ অভিযোগ কুরবান আলীর পরিবারের।
আজ রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ আবেদীন মিয়াকে আটক করেছে। তাঁর বাবার নাম মুজিবুর ওরফে পন্ডিম মিয়া। নিহত কুরবান আলীর বাবার নাম ধন মিয়া।
পুলিশ ও কাইয়ারগাঁও গ্রামের কয়েকজন বলেন, রোববার দুপুরে চলতি নদীতে আবেদীন ও কুরবান আলী বালু তোলার কাজ করছিলেন। দুপুরে নদীতীরে বসে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কুরবান আলীর কাছে একটি সিগারেট চান আবেদীন মিয়া। কিন্তু কুরবান আলী সিগারেট দিতে রাজি না হওয়ায় দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়।
একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে কুরবান আলীর মাথায় আঘাত করেন আবেদীন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কুরবান আলী। পরে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং কুরবানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ বলেন, সিগারেট চাওয়ার মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আবেদীন মিয়াকে আটক করেছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।