সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বাঘ হত্যা ও বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. শরিফ উদ্দিন (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে বন বিভাগ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে সুন্দরবনের কাচিকাটা এলাকায় মারা যাওয়া একটি বাঘের দুটি নখ জব্দ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার নীলডুমুর বাজার থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটক শরিফ উদ্দিন উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের মো. মোকাদ্দেস মোল্যার ছেলে। তিনি এলাকায় ‘শরিফ ডাক্তার’ নামে পরিচিত।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি গোপন সংবাদের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, শরিফ উদ্দিন বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর আজ বিকেলে নীলডুমুর ঘাট থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর পরিচালিত ওষুধের দোকান থেকে বাঘের দুটি নখ জব্দ করা হয়েছে।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোছাইন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কাচিকাটা এলাকা থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করা হয়। বাঘটির মাথা ও পা ছিল না। ধারণা করা হয়, চোরা শিকারি চক্র বাঘটি হত্যার পর মাথা ও পা কেটে নিয়ে যায়। এরপর থেকে বিষয়টির অনুসন্ধান করে আসছে বন বিভাগ।
ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় আজ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা নখ দুটি কাচিকাটায় উদ্ধার করা মৃত বাঘের বলে মনে হচ্ছে। শরিফ উদ্দিন এখনো বন বিভাগের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম বাদী দিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কাল শুক্রবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।