আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিডিআর বিদ্রোহের নামে মেধাবী চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার সকালে নীলফামারী শহরের পৌরসভা মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘অন্যায়ের বিচার হতে হবে, না হলে অন্যায়কারীরা উৎসাহ পাবে, অপরাধ কমবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে মেধাবী চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় পরিকল্পিতভাবে। শেখ হাসিনার নির্দেশেই এটি করা হয়েছে। যত অন্যায়–অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে, তা ছিল শেখ হাসিনার মদদেই।’
কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুস সাত্তার। সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম। কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার। অনুষ্ঠানে দলটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেমন ছিলেন, তাঁর উজির-নাজিররাও একই রকমের ছিলেন। কে কত মিথ্যা বলতে পারবে, সেই প্রতিযোগিতা ছিল গত সাড়ে ১৫ বছরে। শেখ হাসিনার সময় বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে, অন্যায় করা হয়েছে, ফরমায়েশি রায় প্রদান করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নামে খুন, গুম ও হত্যা মামলা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। ন্যায্য বিচার চাই।’
জামায়াতের নেতা–কর্মীদের ওপর নির্যাতন–জুলুম চালানোর কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়গুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বাড়িতেও থাকতে পারেনি। বাড়িতে বসে থাকলেও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু জামায়াত নয়, বিরোধী মতের সবার ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।’
নেতা-কর্মীদের আইন হাতে তুলে না নিতে নির্দেশনা দিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াত কোনো অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন।