রাজশাহী নগরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ বেলা ১১টার আগেই মানুষে পূর্ণ হয়ে যায়
রাজশাহী নগরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ বেলা ১১টার আগেই মানুষে পূর্ণ হয়ে যায়

রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় মানুষ

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী আসার অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই। এই ফাঁকে সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত বাউল শিল্পী শফি মণ্ডল ও তাঁর দল। গানের ফাঁকে ফাঁকে জনসভায় সুশৃঙ্খলভাবে বসার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে শফি মণ্ডলের দলকে মঞ্চের সংগীত পরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রণ জানান অনুষ্ঠানের ঘোষক রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলু সরকার।

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মাঠের পাশের সড়কেও উপচে পড়ছে মানুষ

এই সংগীত দল একে একে পরিবেশন করে ‘আমরা সবাই বাঙালি’, ‘যদি রাত পোহালেই শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’, ‘শুদ্ধ শনিতে শিরায় শিরায় বহমান মে ধারা’। এরপর বাউল শিল্পী সুজন চক্রবর্তী আবদুল করিমের ‘বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে’ গানটি পরিবেশন করেন। এই গানের পর সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’। পরে শফি মণ্ডল গাইলেন, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘দে দে পাল তুলে দে’, ‘তিন পাগলের হলো মেলা নদে এসে’।

গানের সঙ্গে সঙ্গে মাঠের ভেতরে ও বাইরে জমায়েত বিপুল জনতা করতালি দিয়ে শিল্পীদের উৎসাহিত করেন। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত সংগীত পরিবেশনা চলে। এরপর শুরু হয় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাত্রী পরিবহনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সাতটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। আশপাশের জেলাগুলো থেকে এসব বিশেষ ট্রেন একে একে রাজশাহী পৌঁছা শুরু হয়েছে। স্টেশনে নেমে দলে দলে জনসভাস্থলে আসছেন নেতা-কর্মীরা।

এদিকে বাঘা-চারঘাট থেকে ২০ থেকে ৩০টি নৌকা নিয়ে মানুষ পদ্মা নদী হয়ে জনসভায় আসছেন। স্রোতের মতো মানুষ ঢুকছেন জনসভাস্থলে।