চট্টগ্রামের পটিয়ায় এবার অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের বেঁধে একটি গরুর খামার থেকে ২১টি গরু লুট করেছে ডাকাতেরা। গতকাল সোমবার গভীর রাতে পটিয়ার ধলঘাট গ্রামের মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন মরিয়াম অ্যাগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটেছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলায় এ নিয়ে দুই দফা গরু লুটের ঘটনা ঘটল।
ঘটনাস্থলে সকালে গিয়ে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল খামারে ঢুকে তিন কর্মচারী সালাউদ্দিন (৩৫), এমরান উদ্দিন (১৮) ও আলাউদ্দিনকে (৪৫) অস্ত্র দেখিয়ে বেঁধে রেখে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ২১টি গরু লুট করে নিয়ে যায়।
ফার্মের মালিক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি তিন বছর ধরে মরিয়ম অ্যাগ্রো ফার্মে গরু পালন করে বিক্রি করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো তিনি খামারে কাজ সেরে গতকাল রাত দুইটার পর বাড়িতে ফেরেন। তার আগের দিন একজন কসাই এসে তাঁদের খামারে একটি গরু দরদাম করে গেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে তাঁর গরু নেওয়ার কথা ছিল। তাই আজ ভোর পাঁচটার দিকে খামারের কর্মচারীদের ফোন দিচ্ছিলেন খামারের মালিক তৌহিদুল ইসলাম। তবে কোনো কর্মচারী ফোন না ধরায় বাড়ি থেকে তিনি খামারে চলে আসেন।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খামারের প্রধান ফটক বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে বন্ধ করা ছিল। দরজা খুলে দেখেন, তাঁর তিন কর্মচারীকে হাত–পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে। তাঁর খামারের ৩২টি গরুর মধ্যে ২১টি গরু নেই। তিনি হাত-পা বাঁধা অবস্থা থেকে কর্মচারীদের উদ্ধার করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, সংঘবদ্ধ ডাকাত দল কর্মচারীদের বেঁধে খামারের ১০টি ষাঁড় ও ১১টি গাভি নিয়ে গেছে। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
খামারের কর্মচারী এমরান উদ্দিন বলেন, তিনি এক বছর দুই মাস ধরে এই ফার্মে চাকরি করছেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা তিন কর্মচারী খামারে নিজেদের জায়গায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত প্রায় তিনটার দিকে হঠাৎ বাইরে থেকে অন্তত ১২ জন সশস্ত্র লোক মুখোশ পরে ঢোকে খামারে। তাদের হাতে ছুরি ছিল। এ সময় তিনজন এসে তাঁকে বেঁধে ফেলে। পরে সকালে মালিক এসে উদ্ধার করেন।
ঘটনাস্থলে কথা হয় পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমানের সঙ্গে। এ সময় পুলিশ মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, তাঁদের খামার থেকে ২১টি গরু লুট হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে।
এদিকে এর আগে ১২ নভেম্বর গভীর রাতে পাশের হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন ছালেহ নুর কলেজ এলাকার চৌধুরী ডেইরি ফার্ম থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার ফ্রিজিয়ান জাতের ১৯টি গরু লুট হয়।