ওসমানী মেডিকেল

নিরাপত্তার বিষয় দৃশ্যমান হলে কাল কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। আজ বিকেলে
ছবি : প্রথম আলো

সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হলে আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। এতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। যদি অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়, তাহলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেমিনার কক্ষে বৈঠকে বসে। বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা বৈঠক চলে। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ব্যাপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা গ্রহণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয়। বৈঠকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াসহ জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। আজ বিকেল সাড়ে চারটায়

বৈঠক থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা বেরিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। সেখানে সবাই সিদ্ধান্ত নেন, আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের উদ্যোগ পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি তাঁদের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি দৃশ্যমান হয়, তবে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন।

সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় তাঁরা দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক-নার্সদের হুমকির পাশাপাশি মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা চাই’ উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে।

হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ চারজনের নাম উল্লেখ করে গতকাল রাতেই সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছে। এ মামলায় পুলিশ রোগীর চার স্বজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সুচিকিৎসা না পেয়ে ওই রোগী মারা গেছেন।