কুড়িগ্রামে সীমান্ত হত্যার শিকার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
কুড়িগ্রামে সীমান্ত হত্যার শিকার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

সীমান্তে নিহত ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের ভাই-বোনের পড়াশোনা, কর্মসংস্থানসহ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় উপদেষ্টার বাসভবনে যান ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, মা জাহানারা বেগম ও ছোট ভাই জাহান উদ্দিন। সেখানে তাঁদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান আসিফ মাহমুদ।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই জাহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাতে আমরা আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের তিন ভাইয়ের পড়াশোনা শেষ করে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আমার বোনের হত্যার সঠিক বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন।’

নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলনীটারি গ্রামের নুর ইসলাম ও জাহানারা দম্পতির বড় সন্তান ফেলানী। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ফেলানীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর হয়। তবে হত্যার বিচার এখনো শেষ হয়নি।

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার আমার মেয়ের হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়েও ন্যায়বিচার দেয়নি। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে কতবার মেয়েকে হত্যার বিচার চেয়ে আবেদন করেছি; কিন্তু বিচার পাইনি। গতকাল উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমার মেয়েকে হত্যার সঠিক বিচার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আমার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা এই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।’