বগুড়ার শাজাহানপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় মিছিল থেকে পালানোর সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যুবদলের এক নেতা মারা গেছেন বলে দাবি করেছে যুবদল। আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার সাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই যুবদল নেতার নাম ফোরকান আলী (৪৭)। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক এবং ঘাসিড়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। যুবদলের নেতাদের দাবি, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ধাওয়া দেওয়ায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ কোনো মিছিলে ধাওয়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জানান, অবরোধের সমর্থনে আজ সকাল সাতটার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাজাপুর এলাকায় অবস্থান নেন নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে তাঁরা মিছিল শুরু করেন। মিছিলে খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফোরকান আলীও অংশ নেন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ ও র্যাবের টহল গাড়ি মহাসড়ক দিয়ে মিছিলের কাছাকাছি এসে ধাওয়া দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলে পালানোর সময় ফোরকান আলী সাজাপুর-ফুলতলা মাদ্রাসার পেছনের সড়কে গিয়ে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ফজর আলী বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিএনপির লোকজন কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশা মাদ্রাসার পেছন দিয়ে পালাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে একজন পড়ে যান। পরে তাঁকে আরেকটি অটোরিকশায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে সাজাপুর এলাকায় কোনো মিছিলের খবর পুলিশ জানে না বলে দাবি করেছেন শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে ধাওয়া দিয়েছে কিংবা পুলিশের ধাওয়ায় কেউ মারা গেছেন, এমন কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই। ফোরকান আলীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গেলে স্বজনেরা জানান, তিনি আগে থেকেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
ফোরকানের ছোট ভাই ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই সাজাপুর এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করতেন। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান।