জরাজীর্ণ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিস ভবন। ভেতরে ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কাজ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার
জরাজীর্ণ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিস ভবন। ভেতরে ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কাজ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার

ডাকঘর ভবন জরাজীর্ণ, ঝুঁকি নিয়ে চলে কাজ

পোস্ট অফিস ভবনটি ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয়েছে। অন্তত ২০ বছর ধরে পুরো ভবনটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিস ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। গোটা ভবন স্যাঁতসেঁতে ও জরাজীর্ণ। তবু ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভবনের ভেতরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ করে যাচ্ছেন।

পোস্টম্যান আফসার আহমেদ বলেন, ‘পুরো ভবন স্যাঁতসেঁতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের অফিশিয়াল কাজ করতে হচ্ছে। কাজের সময় ভয়ে কখনো ছাদের দিকেও তাকাই।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পোস্ট অফিসে কর্মরত একজন বললেন, ‘ভবনের ভেতরে ঢোকার আগে দোয়া পড়ি। ভবনের ভেতরে কাজ করার সময়ে ভয়ে বুকটা দুরুদুরু করে।’ পোস্ট অফিস ভবনটি ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয়েছে। পোস্ট অফিসের সাবেক পোস্টমাস্টার খোরশেদ আলম বলেন, বদরগঞ্জ রেলস্টেশনের পাশে ৪ শতাংশ জমির ওপরে ওই ভবন করা হয়। অন্তত ২০ বছর আগে থেকে পুরো ভবনটি স্যাঁতসেঁতে হয়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে সেবা দিচ্ছেন। তাঁদের মাথার ঠিক ওপরে ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে আছে। পোস্টাল অপারেটর হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগে কাজ করার সময় ছাদের পলেস্তারা খসে আমার টেবিলের ওপরে পড়েছিল। ভাগ্যিস বেঁচে গেছি।’

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পোস্ট অফিসে পার্সেল নিতে আসেন বদরগঞ্জ পৌরসভার বালুয়াভাটা গ্রামের আহসান হাবীব। তিনি একজন পোস্টম্যানের উদ্দেশে বলেন, ‘ভাই, তাড়াতাড়ি পার্সেলটা দেন। আপনাদের বিল্ডিংয়ের ছাদের অবস্থা খারাপ। প্লাস্টার (পলেস্তারা) খসে মাথার ওপর পড়তে পারে।’

পোস্টমাস্টার আখতারুজ্জামান বলেন, ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থা কারও অজানা নয়। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে সেটা তাঁরা জানেন না। তাঁরা সেবামূলক চাকরি করেন। তাঁদের আসলে কিছুই করার নেই। তাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যেতে হয়।