তথ্য জালিয়াতি করে অনলাইনে একাধিকবার আবেদন করায় বরিশাল নগরের ৫টি সরকারি বিদ্যালয়ের ১২১ শিশুশিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারিতে নির্বাচিত হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা জানান, ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের শূন্য কোটাগুলো এখন অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে অথবা পুনরায় লটারির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, জিলা স্কুলে লটারিতে নির্বাচিত ২৪০ জনকে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার ভর্তি–পরবর্তী যাচাই-বাছাই কার্যক্রম করতে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ জন শিক্ষার্থী একাধিকবার আবেদন করেছে। এটা একধরনের জালিয়াতি। তাই ওই ৫০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।
ভর্তি বাতিল হওয়া শিশুশিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। যে ৫টি সরকারি বিদ্যালয়ের ১২১ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল হয়েছে, সেই বিদ্যালয়গুলো হলো বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শহীদ আরজুমনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন বলেন, নাম পরিবর্তন, জন্মনিবন্ধনের সংখ্যা পাল্টে ও ভুল তথ্য দিয়ে একাধিক আবেদন করার কারণে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখার ২৮ জন এবং দিবা শাখার ৩১ জনের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং শহীদ আরজুমনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন করে মোট ১২ জন শিশুশিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতারণা করে ভর্তির আবেদন করা একধরনের অপরাধ। শিশুশিক্ষাথীদের ভর্তির জন্য এমন অপরাধ করা উচিত হয়নি। আপাতত বিদ্যালয় পাঁচটির কোটা পূরণের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আবার লটারি করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর দেশের সব সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারির ফলাফল প্রকাশিত হয়। এর আগে ১৬ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়।