ফারদিনের মৃত্যু

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুশরা

কারাগার থেকে মুক্তির পর বের হয়ে অটোরিকশায় করে চলে যান বুশরা। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূরের (পরশ) মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি আয়াতুল্লাহ বুশরা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার ৮ জানুয়ারি ফারদিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন। তাঁর জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করে আজ বেলা দুইটার দিকে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানা গেছে, বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিন তিনি নিখোঁজ হন। ওই দিন ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন আয়াতুল্লাহ বুশরা। পরের দিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন।

নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা পরে মামলা করেন। মামলায় বুশরাকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন বুশরা।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল রহমান আজ বুশরার মুক্তির বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুশরাকে নিতে তাঁর বাবা এসেছিলেন।