বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় থাকা সানজিদাকে নিজ ইউনিয়নে সংবর্ধনা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সানজিদা ইসলামকে ক্রেস্ট প্রদান করছেন আচারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। বুধবার বিকালে ইউপি ভবন মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

চলতি বছর বিবিসির করা বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সানজিদা ইসলামকে সংবর্ধনা দিয়েছে আচারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ। সানজিদা আচারগাঁও ইউনিয়নের ঝাউগড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে ইউপি ভবন মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউপি সচিব মো. নজরুল ইসলাম। নয়টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের তিনজন নারী সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা, সাংবাদিক, সানজিদা ইসলামের মা লিজা আক্তারসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য। ইউপির পক্ষ থেকে সানজিদাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সালাহ উদ্দিন, স্বপন মিয়া, ছাত্র নেতা শফিকুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলম ফরাজী প্রমুখ। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সানজিদাকে নিয়ে তিনি গর্বিত। সানজিদা ইসলামের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি তাঁর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।

সানজিদা বলেন, তাঁর তেমন কিছু চাওয়া নেই। তবে তাঁর এই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আন্দোলনটি দেশে ছড়িয়ে পড়লে তিনি খুবই খুশি হবেন।

নান্দাইল পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালে ২০১৪ সালে সানজিদা তাঁর ছয় সহপাঠীকে নিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলে সাড়া ফেলেছিলেন। এরপর প্রথম আলো সানজিদার ওই দলকে ‘সাত সাহসী’ উপাধি দিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল।

সানজিদাসহ এই সাত সাহসী ২০১৪ সালেই ঘাসফড়িং নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এর পর থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন তাঁরা। তবে এখন সবাই আলাদাভাবে কাজ করেন।