বরিশাল নগরের হাসপাতাল সড়কের ঐতিহ্যবাহী গাঙ্গুলী বাড়িতে শুরু হয়েছে আর্টক্যাম্প। আজ শুক্রবার সকালে
বরিশাল নগরের হাসপাতাল সড়কের ঐতিহ্যবাহী গাঙ্গুলী বাড়িতে শুরু হয়েছে আর্টক্যাম্প। আজ শুক্রবার সকালে

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মবার্ষিকীতে বরিশালে তিন দিনব্যাপী আর্টক্যাম্প শুরু

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে তিন দিনব্যাপী আর্টক্যাম্প শুরু হয়েছে। চারুকলা বরিশালের আয়োজনে এই আর্টক্যাম্পে অংশ নিয়েছে বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার ৪০ জন খুদে শিল্পী। আজ শুক্রবার দুপুরে নগরের হাসপাতাল সড়কের ঐতিহ্যবাহী গাঙ্গুলী বাড়িতে ‘জয়নুলের জলছবি’ শীর্ষক তিন দিনের আর্টক্যাম্প শুরু হয়।

আয়োজকেরা জানান, তিন দিনের এই আর্টক্যাম্পের প্রথম দিনে ড্রয়িং ও জলরঙের মাধ্যমে আঁকে অংশগ্রহণকারী খুদে শিশু শিল্পীরা। আর্ট ক্যাম্পটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট শিল্পী তাপস কর্মকার।

আগামীকাল শনিবার নগরীর বান্দ রোডের বিআইডব্লিউটিএর বাংলোর সামনের পদ্মপুকুরে দ্বিতীয় দিনের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ ডিসেম্বর সমাপনী দিনে বান্দ রোডের শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের সনদ প্রদান করা হবে।

জলরঙে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী অনিক দে বলেন, ‘এই কর্মশালার মাধ্যমে প্রকৃতির মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্যি সুন্দর। আমরা এই ক্যাম্পে অংশ নিয়ে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা ও আর্টে দক্ষতা অর্জন করতে পারছি। এ ধরনের আয়োজন বেশি বেশি করা উচিত। এতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হতে পারব।’

শিল্পী তাপস কর্মকার বলেন, ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে স্মরণ করতেই আমাদের এই আয়োজন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশের ঐতিহ্য প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। এই সঙ্গে শিল্পকলার প্রতি নতুন প্রজন্মের শিশুরা গভীর অনুরাগী হতে পারবে।’

চারুকলা বরিশালের সভাপতি দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মবার্ষিকীতে প্রতিবছরই এই ধরনের আয়োজন করে থাকে চারুকলা, বরিশাল। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজের এলাকা ও প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এবারের এই আয়োজনেও খুদে শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহ নিয়ে এই ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে।

জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনার জেলার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে ১৯৪৩-এর দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, মই দেওয়া, ম্যাডোনা ৪৩, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী ইত্যাদি। ১৯৭০ সালে গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন বিখ্যাত ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি ‘নবান্ন’। বাংলাদেশের শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে এক অনন্য বাতিঘর হিসেবে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এখনো শিল্পাঙ্গনে পথপ্রদর্শক হয়ে আছেন।