বরগুনার তালতলীতে জাফরুল হাসান (সুমন) নামের যুবলীগের এক নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর ও নির্যাতন করা হয়েছে। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে বিএনপির কর্মীকে মারধরের মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গতকাল রোববার রাতে তালতলী শহরের পশ্চিম মাথায় মুক্তিযোদ্ধা সড়কে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে জাফরুল হাসানকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
জাফরুল হাসান তালতলী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাঁর বাবা মোসলেম আলী হাওলাদার তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার। মোসলেম আলী হাওলাদার অভিযোগ করেন, ‘গতকাল রাত আটটার দিকে তালতলী শহরের উজ্জ্বল চত্বর থেকে মোটরসাইকেলে করে সুমন (জাফরুল) বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। তখন বিএনপি নেতা শহিদুল হকের ছেলেসহ আরও ৭ থেকে ৮ জন মারধর শুরু করেন। তাঁরা তাঁকে শহিদুল ইসলামের বাসার সামনে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে বেধড়ক মারধর ও জুতাপেটা করা হয়। মারধরের সময় শহিদুল হক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করেছে।’
শহিদুল হক তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। তিনি দাবি করেছেন জাফরুলকে মারধর করার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তিনি বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপির দুজন কর্মীকে হাতুড়িপেটা করার সময় সুমন উপস্থিত ছিলেন। গতকাল রাতে আবার মারধরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এ সময় স্থানীয় জনতা ধরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। যাদের হাতুড়িপেটা করা হয়েছে, তারা সুমনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কালাম খান বলেন, গতকাল রাতে বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ শহরের মুক্তিযোদ্ধা এলাকা থেকে জাফরুল হাসান নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ৩০ সেপ্টেম্বর তালতলীতে একটি মারধরের ঘটনায় দুলাল নামের এক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় জাফরুলকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালতলীতে একটি মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এটা দুঃখজনক। এ রকম আচরণ করলে আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি। জেলা কমিটি না থাকায় আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’