শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজশাহীতে তিন ছাত্রদল নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীর সঙ্গে ফোনালাপের দুটি রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
অব্যাহতি পাওয়া তিন নেতা হলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব ও সদস্য হাসিবুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মহব্বত হোসেন ও আহসান হাবিবকে সাংগঠনিক পদ ও হাসিবুল ইসলামকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন অব্যাহতির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ১০১ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে নগরের মতিহার থানায় মামলা করেন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বাদী আহসান হাবিব ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলামের ফোনালাপের দুটি রেকর্ড ফাঁস হয়। এ ঘটনায় দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কিছুদিন আগে বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন দলবল নিয়ে পোড়াকয়া গ্রামের একটি পুকুর দখল করে মাছ লুট করেন। মাছগুলো মোহনগঞ্জ বাজারে বিক্রির সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন মহব্বত হোসেন। বিষয়টি নিয়ে পুকুরের মালিক তাঁর বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মহব্বত হোসেনকে আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।