বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে মারা যাওয়া কমলেশ বিশ্বাসের বাড়িতে স্বজনদের শোকের মাতম চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শালিখা উপজেলার বড় থৈপাড়া এলাকায়
বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে মারা যাওয়া কমলেশ বিশ্বাসের বাড়িতে স্বজনদের শোকের মাতম চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শালিখা উপজেলার বড় থৈপাড়া এলাকায়

মাগুরায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, পরে দুজনের লাশ উদ্ধার

মাগুরার শালিখা উপজেলায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ডোঙা ডুবে নিখোঁজের পৃথক ঘটনায় দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের পিঠভাড়া বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তাঁরা। পরে রাতেই একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর আজ বৃহস্পতিবার সকালে অপরজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া দুজন হলেন ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের বড় থৈপাড়া গ্রামের কনক বিশ্বাস (৪০) ও একই গ্রামের কমলেশ বিশ্বাস (৩৫)। তাঁদের মধ্যে কনকের লাশ গতকাল রাতেই উদ্ধার করা হয়। আর আজ সকালে উদ্ধার করা হয় কমলেশের লাশ।

কমলেশ বিশ্বাসের ভাই নরোত্তম বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলে সাত বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ডোঙায় করে মাছ ধরতে বিলে জাল পাততে যান তাঁর ভাই কমলেশ। বিকেল ৪টার পর ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁদের ডোঙাটি বিলের পানিতে ডুবে যায়। এ সময় কমলেশ তাঁর ছেলেকে ভাসমান একটি কচুরিপানার স্তূপের ওপরে তুলে দিয়ে তিনি ডুবে নিখোঁজ হন। ঝড়বৃষ্টি থামলে স্থানীয় বাসিন্দারা কচুরিপানার ওপর থেকে ভাসমান অবস্থায় কমলেশের শিশুসন্তানকে উদ্ধার করেন। তবে ছেলেটি অনেক ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আজ সকালে মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আলী সাজ্জাদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে তাঁরা খবর পান, বিলে মাছ ধরতে গিয়ে দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। কোনো ডুবুরি না থাকায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেননি। আজ সকালে খুলনা থেকে ডুবুরি আসার আগেই স্থানীয় লোকজন দুজনের লাশ উদ্ধার করেছেন।

স্থানীয় লোকজন বলেন, একই সময়ে একই এলাকায় ডোঙা ডুবে কনক বিশ্বাসও নিখোঁজ হন। তিনিও বিলে জাল পাততে গিয়েছিলেন। পরে রাতে কনকের লাশ উদ্ধার করা হয়।