সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে

বাংলাদেশকে নতজানু অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না: জোনায়েদ সাকি

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক বলা হলেও, সেটি আসলে বন্ধুত্বের ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে একটি দল তার গদি রক্ষার জন্য দেশের স্বার্থকে বিকিয়ে দিয়ে তার গদি রক্ষা নিশ্চিত করেছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান জনগণের রায় হলো, বাংলাদেশকে ওই নতজানু অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না।

আজ সোমবার মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সারা বিশ্বকে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ আর নতজানু থাকবে না। বাংলাদেশ তার মর্যাদা ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে অপরাপর দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে।’

নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সঙ্গেও ন্যায্যতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাব, তারা অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারত সরকারকে ন্যায্যতা ও মর্যাদা বজায় রেখে সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা দেখছি, ভারতীয় মিডিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিজেপি দলীয় স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা প্রচার করতে চাইছে, বাংলাদেশে নারীরা, সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীন। এগুলো সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা সত্য দিয়েই লড়াই করছি। সারা দেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ দেখছে, বাংলাদেশে এ রকম কোনো পরিস্থিতি নেই।’

ন্যায়বিচারই নতুন বাংলাদেশের যাত্রার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যে গণ–হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেটির বিচার আমরা দাবি করেছি। একই সঙ্গে ২০২৪ সালে এসে ক্ষমতা রক্ষার জন্য ফ্যাসিস্ট শাসক নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছে। সেই হত্যার বিচার হতে হবে। ন্যায়বিচারই হবে নতুন বাংলাদেশ যাত্রার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক। সেখানে কিছুটা ত্রুটিবিচ্যুতি হচ্ছে। যেভাবে মামলা হচ্ছে, সেগুলো অনেকটা পুরোনো কায়দায় হচ্ছে। যার কারণে ওই মামলাগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ’২৪–এর আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম যেন বেহাত না হয়, মানুষের আকাঙ্ক্ষার যেন বাস্তবায়ন হয়, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।’