নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত লিলি বেগম (৫০) নামের এক নারীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার শিমরাইলের সুগন্ধ্যা হাসপাতালে লিলির মৃত্যু হয়। তাঁর স্বজনেরা হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় বিক্ষোভ করেন। তবে পুলিশের দাবি, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় লিলি বেগমসহ ছয়জন আহত হন।
লিলির স্বামী আশরাফ প্রথম আলোকে জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগরে জমি নিয়ে বিরোধে শিমরাইল টেকপাড়ার চান্দু মাদবর, তাঁর ছেলে মনির হোসেনসহ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আশরাফের পরিবারের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় তিনি, তাঁর স্ত্রী লিলি বেগমসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
আশরাফ অভিযোগ করে বলেন, নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় তাঁদের একটি জমি নিয়ে একই এলাকার চান্দু মাদবরের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিন পর আদালতে মামলার রায় পাওয়ার পর গতকাল সকালে ওই জমিতে গেলে প্রতিপক্ষ চান্দু মাদবর ও তাঁর ছেলে মনিরের নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত লোক হামলা করেন। এ সময় তাঁরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে ছয়জনকে গুরুতর আহত করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটলেও তাঁদের কোনো সহযোগিতা করেনি তারা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘গতকাল সকালে শতাধিক লোক আহত তিনজনকে ৯৯৯ ফোন নম্বরে ফোন করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। তাঁদের চাঁদাবাজ উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দেন। ওই তিনজন আহত হওয়ায় তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। চিকিৎসা শেষে বিকেলে ফিরে এসে তাঁরাও একটি অভিযোগ দেন। কিন্তু তখন তাঁরা বলেননি। অভিযোগেও লিলি বেগম নামের কেউ আহত হয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি। উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি আল মামুন বলেন, বিকেলে জানা গেছে যে আহত একজন মারা গেছেন। এরপর তাঁর স্বজনেরা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি দাবি করেন, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্ত করতে চাইলেও তাঁরা রাজি হননি।