কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশে বাহা উদ্দিন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে আসেন আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে। বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেসের। কিন্তু ট্রেন ছাড়ে আড়াইটার পর। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বাহা উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গরমের মধ্যে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বসে আছি। ট্রেনটি এসেছে দেরিতে। ছাড়ছেও দেরিতে।
শুধু বাহা উদ্দিন নন, তাঁর মতো আরও এক শ কক্সবাজারগামী যাত্রীকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। পর্যটক এক্সপ্রেস মূলত ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৬ ট ১০ মিনিটে ছাড়ে। কিন্তু আজ এই ট্রেন প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি বেলা তিনটায় প্রথম আলোকে বলেন, পর্যটক এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার কথা বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি চট্টগ্রামে প্রবেশ করেছে বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে। এরপর বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পর্যটক এক্সপ্রেসে এক হাজারের মতো আসন রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ১১৫টি টিকিট দেওয়া হয়। বেলা দুইটার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সন্তান ও স্বজন নিয়ে কেউ বসে আছেন। কেউবা মাথার নিচে ব্যাগ রেখে মেঝেতেই শুয়ে পড়েছেন। ইমন দাশ তাঁর দুই আত্মীয়কে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানান, বেলা ১১টা থেকে স্টেশনে বসে আছেন। মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে দেরিতে ছাড়ার বিষয়টি জেনে তিনি বেলা দেড়টার দিকে স্টেশনে এসেছেন। তা-ও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর জংশনের দক্ষিণে ছোট দেওড়া আউটার সিগন্যালে তেল ও যাত্রীবাহী দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক ট্রেনের দুই চালকসহ চারজন আহত ও ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তিন ঘণ্টার মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-উত্তরবঙ্গ পথে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় বিভিন্ন পথের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গতকাল বেলা একটা থেকে এ পথে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আজ শনিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। ডাবল লাইনের ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের একটি দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।