প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আমি ও আমার সহকর্মীরা এখানে এসেছি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এ দেশের সংবিধান তৈরি হয়েছে। এই সংবিধানকে সংরক্ষণ করা আমার ও সহকর্মীদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই শপথ নিয়েছি।’
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ২টা ২০ মিনিটে স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন তিনি। এর আগে বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বেলা সোয়া দুইটার দিকে সড়কপথে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে তিনি স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরিদর্শন বইয়ে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
পরিদর্শন বইয়ে প্রধান বিচারপতি লিখেছেন, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল; জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতিসমূহ আমি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ও ব্যক্তিজীবনে দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করব।’
এ সময় আপিল ও হাইকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, প্রধান বিচারপতির পরিবারের সদস্য, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক, উত্তর), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল), আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।