বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর শ্যালক কাজী মফিদুল ইসলাম ওরফে কামালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে তাঁকে নগরের কাউনিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, কাজী মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে কাজী মফিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরের কাউনিয়া প্রধান সড়ক এলাকার বাড়িতে অভিযান চালায় কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কাজী মফিজুল ইসলাম বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বড় শ্যালক।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট দুপুরে নগরের সদর রোডে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান গত ২৩ আগস্ট একটি মামলা করেন। মামলায় ৩৮১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় কাজী মফিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯ জুলাই বিকেলে নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডে বিএনপি শোকমিছিল বের করলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার গত ২১ অক্টোবর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায়ও আসামি কাজী মফিদুল ইসলামসহ ৫০৪ জনের নাম আছে। এ ছাড়া কাজী মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা আছে। এই তিন মামলার আসামি হিসেবে গতকাল বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের একটি দল কাউনিয়া প্রধান সড়কে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।