ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি কাউন্টারের সামনে স্যুটকেসের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় ৩১ ঘণ্টা পরও শনাক্ত হয়নি। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত লাশের পরিচয়ের কোনো হদিস পায়নি পুলিশ।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ডে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে তালা ভেঙে স্যুটকেসে লাশটি পাওয়া যায়। সেখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী স্যুটকেসটি রেখে গিয়েছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আব্দুল গফফার বলেন, আঙুলের ছাপ নিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে জেলা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে। এ জন্য ডিজিটাল ও এনালগ উভয় পদ্ধতিতে কাজ করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হলে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, আজকের মধ্যে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত না হলে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করবে। সেই সঙ্গে লাশটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোরে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ের দিক থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে বোরকা পরিহিত এক নারী ফরিদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে ওই বৈদ্যুতিক খুঁটির সামনে আসেন। মাহিন্দ্রা থেকে স্যুটকেসটি নামিয়ে তিনি চলে যান। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেন একই মাহিন্দ্রা গাড়িতে আসা তিন থেকে চার ব্যক্তি। দীর্ঘ সময় ওই নারী ফিরে না আসায় বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিকদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে তালা ভেঙে স্যুটকেস খুলে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ মোড়ানো অবস্থায় পায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।