পাবনার সুজানগর উপজেলায় প্রকাশ্যে জাহাঙ্গীর আলম (৬৩) নামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই আবদুল মাতিনসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম তাঁর ভাই আবদুল মাতিনকে নিয়ে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে ছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। বিষয়টি দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। আহত অন্য ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত জাহাঙ্গীরের বড় ছেলে জুবায়ের হোসেন বলেন, তাঁর বাবা চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর গ্রামে মাদক, জুয়া ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। এ জন্য গ্রামের কিছু লোক তাঁর ওপর ক্ষেপে যান। জুবায়েরের দাবি, অবসর নেওয়ার পর বাবা নতুন বাড়ি করছিলেন। তখন গ্রামের কিছু লোক তাঁর কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাঁর বাবা সেই চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কয়েকবার তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। ওই বিরোধের জেরে তাঁর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার একটি মামলা করবে বলে জানিয়েছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।